ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার কারণ কি ডায়াবেটিস সম্পর্কে ২০ প্রশ্নের উত্তর

 ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার কারণ কি ডায়াবেটিস সম্পর্কে ২০ প্রশ্নের উত্তর
ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার কারণ কি ডায়াবেটিস সম্পর্কে ২০ প্রশ্নের উত্তর

ডায়াবেটিস সম্পর্কে ২০ প্রশ্নের উত্তর


আসসালামু আলাইকুম  ভিজিটর কেমন আছেন আশা করি সবাই ভালো আছেন আপনারা হয়তো অনলাইনে ডায়াবেটিস সম্বন্ধে কিছু টিপস খুঁজে থাকেন, এবং অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে থাকেন আমি আজকে আপনাদের জন্য অনেকগুলো ডায়াবেটিস প্রশ্নের উত্তর একসাথে দিতাছি ডায়াবেটিস কেন হয় 

ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় 

তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় 

খালি পেটে ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

 ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির উপায়

 দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়

 ডায়াবেটিস কত হলে মারাত্মক?

 গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়?

 ইনসুলিন কিভাবে নিতে হয়? 

ব্লাড সুগার কত থাকা উচিত? 

ডায়াবেটিসের লক্ষণ সমূহ কি কি? 

খাবার পর কত হলে ডায়াবেটিস? 

কি কি করলে ডায়াবেটিস হবে না? 

ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয় 

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় 

টাইপ ২ ডায়াবেটিস কেন হয়?

ডায়াবেটিস এর মাত্রা কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়?

ডায়াবেটিস এর মাত্রা কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়?

ডায়াবেটিস হলে কি চুল পড়ে?

টাইপ ১ ডায়াবেটিস কেন হয়?

 ডায়াবেটিস কেন হয়

ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার কারণ কি?

ডায়াবেটিস কি?


ডায়াবেটিস কি?

বহুমূত্ররোগ বা ডায়াবেটিস (যা ডায়াবেটিস মেলাইটাস নামেও পরিচিত) হলো একটি গুরুতর, দীর্ঘমেয়াদি অবস্থা যেটি ঘটে যখন রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা দীর্ঘসময় ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, কারণ হয় শরীর যথেষ্ট পরিমাণে বা কোনো ইনসুলিন উৎপাদন করে না অথবা উৎপাদিত ইনসুলিন কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে না।


ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার কারণ কি?


বহুমূত্ররোগ বা ডায়াবেটিস (যা ডায়াবেটিস মেলাইটাস নামেও পরিচিত) হলো একটি গুরুতর, দীর্ঘমেয়াদি অবস্থা যেটি ঘটে যখন রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা দীর্ঘসময় ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, কারণ হয় শরীর যথেষ্ট পরিমাণে বা কোনো ইনসুলিন উৎপাদন করে না অথবা উৎপাদিত ইনসুলিন কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে না।


টাইপ ১ ডায়াবেটিস কেন হয়?


শিশুদের টাইপ-১ ডায়াবেটিস অবস্থায় শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে বেঁচে থাকার জন্য ইনসুলিনের দরকার পড়ে। ইনসুলিনের ঘাটতি বা অভাবকে ইনসুলিন ইঞ্জেকশন বা পাম্পের মাধ্যমে পূরণ করা হয়। অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন তৈরির ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে কারণ ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলো ধ্বংসের কারণে এমনটি হয়


ডায়াবেটিস হলে কি চুল পড়ে? ডায়াবেটিস কেন হয়


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস অশনাক্ত থাকলে বা চিকিৎসা না হলে কিডনি, লিভার, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সঙ্গে শরীরের ত্বক নষ্ট হয়ে যায়, চুল পড়ে যায়।


ডায়াবেটিসের লক্ষণ সমূহ কি কি?


যদিও ডায়াবেটিসের একাধিক উপসর্গ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি, দুর্বলতা, ঝাপসা দৃষ্টি, অত্যধিক তেষ্টা, ঘন ঘন প্রস্রাব। এগুলো ছাড়াও এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা উপেক্ষা করা উচিত নয়। মেয়ো ক্লিনিকের মতে, রক্তে যদি শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে মুখের আশেপাশেও তার লক্ষণ দেখা যায়।


ডায়াবেটিস এর মাত্রা কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়?


রক্তে শর্করা ১৬.৭ মিলিমোল বা ৩০০ গ্রাম/ডেসিলিটারের বেশি বা গড় শর্করা এইচবিএওয়ান সি ১০ শতাংশের বেশি হলে ইনসুলিন দিয়ে আগে কমিয়ে নিতে হবে। এ অবস্থায় ওষুধ কার্যকর নয়। বরং নানা জটিলতা ডেকে আনবে। কিডনি ও যকৃতের জটিলতা থাকলে ইনসুলিন ব্যবহার করতে হবে।


টাইপ ২ ডায়াবেটিস কেন হয়?


টাইপ ২ ডায়াবেটিস মূলত একটি ক্রনিক সমস্যা। শরীরে ইনসুলিন হরমোনের কার্যক্ষমতা কমে গেলে এই সমস্যা দেখা দেয়। ইনসুলিন হরমোন মূলত শরীরে রক্তের শর্করার মাত্রা বজায় রাখে।


ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়


ডায়াবেটিসের ক্ষতিকর প্রভাব মাথা থেকে পা পর্যন্ত সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর পড়ে। বেশি আক্রান্ত হয় চোখ, দাঁত, হৃদযন্ত্র ও কিডনি। এছাড়া যৌন সমস্যা দেখা দেয়। পর্যায়ক্রমে শরীরের সমস্ত স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রান্ত করে।


ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়


সবুজ শাকসবজি : সবুজশাক সবজি ২ ধরনের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। পালং শাক, পাতা কপি, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুস পাতা ইত্যাদি খাবারে ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম। গবেষণায় বলা হয়, সবুজ শাক সবজি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে। লেবু : লেবু ও লেবু জাতীয় ফল ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কাজ করে।

কি কি করলে ডায়াবেটিস হবে না?


নিয়ন্ত্রিত এবং সুশৃংখল জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে খুব সহজেই একে অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যায়। অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার, ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার, চকোলেট, আইসক্রিম ইত্যাদি পরিহার করতে হবে। প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, মাছ, কম চর্বি ও কম শর্করাযুক্ত খাদ্য গ্রহণে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।


খাবার পর কত হলে ডায়াবেটিস?


এই পরীক্ষা দিনের যেকোনো সময় করা যায় এবং রক্তের নমুনা একবারই দিতে হয়। আমেরিকান ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের গাইডলাইন অনুযায়ী এইচবিএ১সির মান ৫.৭-এর নিচে থাকলে তাকে স্বাভাবিক ধরা যায়। এটি ৬.৫-এর বেশি হলে ডায়াবেটিস আছে বলে ধরা হবে।


ডায়াবেটিসের লক্ষণ সমূহ কি কি?


যদিও ডায়াবেটিসের একাধিক উপসর্গ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি, দুর্বলতা, ঝাপসা দৃষ্টি, অত্যধিক তেষ্টা, ঘন ঘন প্রস্রাব। এগুলো ছাড়াও এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা উপেক্ষা করা উচিত নয়। মেয়ো ক্লিনিকের মতে, রক্তে যদি শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে মুখের আশেপাশেও তার লক্ষণ দেখা যায়


ব্লাড সুগার কত থাকা উচিত?


শরীরে ব্লাড সুগার মাপা হয় মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার এককে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ স্বাভাবিক ব্যক্তির শরীরে আদর্শ ব্লাড সুগার লেভেল ধরা হয় ৯০ থেকে ১০০ মিগ্রা/ডেলি।

ইনসুলিন কিভাবে নিতে হয়?


ইনসুলিন ইনজেকশন দেওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা এটি। নাভির দুই পাশে দুই ইঞ্চি এবং ওপরে-নিচে এক ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা বাদ দিয়ে পেটের চামড়ার যেকোনো অংশে ইনজেকশন দেওয়া যায়। এ ছাড়া দুই হাতের বাহুর বাইরের দিকের মাঝের অংশে, দুই ঊরুর সামনের এবং বাইরের দিকের মাঝের অংশে এবং দুই নিতম্বেও ইনসুলিন ইনজেকশন দেওয়া যায়।


গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়?


দিনের যে কোনও সময় ৫০ গ্রাম গ্লুকোজ খাওয়ার ১ ঘণ্টা পর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ৭.৮ মিলিমোল/লিটার বা তার চেয়ে বেশী হলে তাকে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হিসেবে ধরে নিতে হবে।


ডায়াবেটিস কত হলে মারাত্মক?


এই ক্ষেত্রে জেনে রাখা ভাল যে রক্তে শর্করার মাত্রা ৬.৫ শতাংশের বেশি হওয়ার অর্থ হল আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সুতরাং সুস্থ থাকতে কোনও ভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রাকে বাড়তে দেওয়া যাবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে রক্তে ৫.৭ শতাংশ শর্করার মাত্রা থাকা উচিত। এর বেশি হলেই বিপদ।


দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়


রক্তের গ্লুকোজ, লিপিড, রক্তচাপ ও ওজন অবশ্যই লক্ষ্যমাত্রায় রাখতে হবে। নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করুন। ডায়াবেটিসের রোগীরা ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের (এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট) কাছে চিকিৎসা নিন। ওষুধ, ব্যায়াম, খাদ্য গ্রহণ তথা সার্বিক জীবনযাপন–সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট এবং বিজ্ঞানসম্মত উপদেশ (যা শুধু আপনার জন্য প্রযোজ্য) মেনে চলুন।

ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির উপায়


ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অন্য যেকোনো পদ্ধতি ব্যর্থ হলেও খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা পরিবর্তন সফল হতে পারে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কয়েক বছর আগে প্রকাশিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম ফলে দেখা যায়, কোনো ধরনের ওষুধ গ্রহণ ছাড়াই নিবিড়ভাবে ওজন হ্রাসের মাধ্যমে টাইপ টু ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।


খালি পেটে ডায়াবেটিস কমানোর উপায়


সকালে খালি পেটে লেবুপানি খাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের। হালকা গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। সেই পানি সকাল সকাল খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। প্রতিদিনের খাবারে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন।


তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় 


করলার রসের সঙ্গে জল মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান। যাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য দারচিনি খুবই উপকারী। এটি অগ্নাশয়ের ইনসুলিন উৎপাদনের প্রক্রিয়াকে উদ্দীপ্ত করে এবং রক্তের সুগার লেভেল কমায়। দারচিনির গুঁড়ো চা, জল বা অন্য পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে পারেন


ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়


ওষুধ ও ইনসুলিন ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। শুধুমাত্র সুনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন, ব্যায়াম, সঠিক খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমেই তা সম্ভব। আকুপ্রেসার, মেডিটেশন, যোগ-ব্যায়াম, প্রাণায়াম- এসবই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় ,



তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায়, খালি পেটে ডায়াবেটিস কমানোর উপায়, ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির উপায়, দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়, ডায়াবেটিস কত হলে মারাত্মক, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়, ইনসুলিন কিভাবে নিতে হয়, ব্লাড সুগার কত থাকা উচিত, ডায়াবেটিসের লক্ষণ সমূহ কি কি, খাবার পর কত হলে ডায়াবেটিস, কি কি করলে ডায়াবেটিস হবে না, ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়, ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়, টাইপ ২ ডায়াবেটিস কেন হয়, ডায়াবেটিস এর মাত্রা কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়, ডায়াবেটিস এর মাত্রা কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়, ডায়াবেটিস হলে কি চুল পড়ে, টাইপ ১ ডায়াবেটিস কেন হয়, ডায়াবেটিস কেন হয়, ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার কারণ কি, ডায়াবেটিস কি,

If you have any doubts please let me know

Previous Post Next Post