শবে কদরের নামাজের নিয়ম এবং আমল সমূহ Sobe Kodorer Dua | Laylatul Koqr 2023

শবে কদরের নামাজের নিয়ম এবং আমল সমূহ 2023
শবে কদরের নামাজের নিয়ম এবং আমল সমূহ 2023
শবে কদরের নামাজের নিয়ম এবং আমল সমূহ 2023

শবে কদরের নামাজের নিয়ম, শবে কদর রাতের ফজিলত ও আমল, শবে কদরের দোয়া, শবে কদরের দোয়া বাংলা, শবে কদরের নামাজ কত রাকাত, শবে কদরের নামাজের দোয়া, শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও দোয়া, শবে কদরের নামাজের নিয়ম কি? শবে কদরের ফজিলত ও বিশেষ দোয়া




শবে কদর হচ্ছে আমাদের মুসলিমদের একটি ইস্পেসাল রাত। এই রাতে চাইলে আমরা আমাদের গুনা মাপ করে নিতে পারি, আমাদের রুজি রোজগার বাড়ার জন্য আল্লহর কাছে দোয়া চাইতে পারি। আমরা জুদি আল্লহর কাছে চাওয়ার মতো চাইতে পারি, তাহলে আল্লহ তায়ালা আমাদের হায়াত বাড়িয়ে দিবে এবং আমাদের রুজি রোজগার বারায় দিবে। এবং আমাদের গুনা মাপ করে দিবে।


ইসলামের বাণী

শবে কদরের নামাজের নিয়ম – লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ম
শবে কদরের নামাজের নিয়ম
লাইলাতুল কদরের নামাজ পড়ার জন্য বিশেষ কোনো নিয়ম বা পদ্ধতি নেই।
শবে কদরের ফজিলত লাইলাতুল কদরের ফজিলত সমূহ
কদর রাতের ফজিলত সমূহ
শবে কদরের আমল সমূহ
সুতরাং লাইলাতুল কদর পেলে, আমল ও দোয়ায় রাত অতিবাহিত করা জরুরি। তা হলো-
শবে কদরের দোয়া শবে কদর কি ২৭ রমজানেই?


শবে কদরের নামাজের নিয়ম – লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ম


‘নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়া’লা রাকআ’তাই ছালাতি লাইলাতিল কদর-নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।


এর অর্থ হলো: আমি কাবামুখী হয়ে আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্য শবে কদরের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবর।

শবে কদর লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ত আরবীতে পড়তে হবে, এমন কোন ধারাবাহিক বা হাদিস কোরআন দ্বারা প্রমাণিত নয়। তাই আপ্নারা আপনার মনে মনে নিয়ত করলেই হবে যে আমি লাইলাতুল কদরের নামাজ আদায় করতেছি তাহলেই আপনার নিয়ত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।


শবে কদরের নামাজের নিয়ম


লাইলাতুল কদরের নামাজ পড়ার জন্য বিশেষ কোনো নিয়ম বা পদ্ধতি নেই।
শবে কদরের নামাজের নিয়ম, লাইলাতুল কদরের রাতে দুই রাকাত করে নফল নামাজ যত সুন্দর ও মনোযোগ সহকারে পড়া যায় ততই ভালো। দুই রাকাত, দুই রাকাত করে আপনি যত খুশি পড়তে পারবেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করবেন, দোয়া করবেন, ইস্তেগফার করবেন ও তওবা করবেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। আল্লাহ তাআলা চাইলে আপনার দোয়া এবং ক্ষমা কবুল করবেন।


শবে কদরের নামাজের নিয়ম – লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ম


শবে কদরের নামাজের নিয়ম, শবে কদরের রাতে বিশেষ কিছু সূরা পড়তে হবে, এটা লোকমুখে প্রচলিত আছে, তবে এর কোনো ভিত্তি নেই। আপনি চাইলে বেশি বেশি সুরা কদর ও সুরা ইখলাস পড়তে পারেন।

শবে কদরের ফজিলত লাইলাতুল কদরের ফজিলত সমূহ
শবে কদরের নামাজের নিয়ম।

শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত। লাইলাতুল কদরের রাত হচ্ছে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রাত।

পবিত্র কুরআনুল কারিম নাযিলের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই রাতকে হাজারের মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ উত্তম ও মহা সম্মানিত রাত হিসেবে আমারদের জন্য দান করেছেন। প্রতিবছর রমজান মাসের শেষ দশকের রাতগুলোর মধ্যে কোনো এক বিজোড় রাত হলো ভাগ্য নির্ধারণ বা লাইলাতুল কদরের রাত। তাই আমাদের মুসলিমদের জন্য এই রাতটি হচ্ছে একটি স্পেশাল্ট রাত

যে রাতে পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে, সে রাতই লাইলাতুল কদর। আল্লাহতায়ালা বলেন: ‘নিশ্চয়ই আমি কুরআন নাজিল করেছি মর্যাদাপূর্ণ কদর রজনীতে। আপনি কি জানেন, মহিমাময় কদর রজনী কী? মহিমান্বিত কদর রজনী হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে ফেরেশতাগণ হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালামকে সমভিব্যহারে অবতরণ করেন; তাঁদের প্রভু মহান আল্লাহর নির্দেশ ও অনুমতিক্রমে, সব বিষয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে। এই শান্তির ধারা চলতে থাকে উষা বা ফজর পর্যন্ত। (আল কুরআন, সুরা-৯৭ [২৫] আল কদর)

কদর রাতের ফজিলত সমূহ




শবে কদরের নামাজের নিয়ম।

মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল হওয়ার কারণে অন্যসব মাসের চেয়ে রমজান মাস বেশি ফজিলত ও বরকতময় হয়েছে। আর রমজানের রাতগুলোর মধ্যে কোরআন নাযিলের রাত লাইলাতুল ক্বদর সবচেয়ে তাৎপর্যমণ্ডিত একটি রাত।

এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি একে নাযিল করেছি কদরের রাতে। তুমি কি জানো ক্বদরের রাত কি?

কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। (সূরা: কদর, আয়াত: ১-৩)।

এ আয়াতের ব্যাখায় মুফাসসিরকুল শিরোমণি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, ‘এ রাতের ইবাদত অন্য হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম’। (তানবিরুল মিকবাস মিন তাফসিরে ইবনে আব্বাসঃ ৬৫৪ পৃষ্ঠা)।

তাবেয়ি মুজাহিদ (র.) বলেন, এর ভাবার্থ হলো, ‘এ রাতের ইবাদত, তেলাওয়াত, দরুদ কিয়াম ও অন্যান্য আমল হাজার মাস ইবাদতের চেয়েও উত্তম। ’

মুফাসসিররা এমনই ব্যাখ্যা করেছেন। আর এটিই সঠিক ব্যাখ্যা। (ইবনে কাসির: ১৮ খণ্ড, ২২৩ পৃষ্ঠা)।

শবে কদরের আমল সমূহ
শবে কদরের আমল সমূহ
শবে কদরের আমল সমূহ
সুতরাং লাইলাতুল কদর পেলে, আমল ও দোয়ায় রাত অতিবাহিত করা জরুরি। তা হলো-
শবে কদরের নামাজের নিয়ম।


১. নফল নামাজ পড়া।

২. মসজিদে ঢুকেই ২ রাকাত (দুখুলিল মাসজিদ) নামাজ পড়া।

৩. দুই দুই রাকাত করে (মাগরিবের পর ৬ রাকাত) আউওয়াবিনের নামাজ পড়া।

৪. রাতে তারাবির নামাজ পড়া।

৫. শেষ রাতে সাহরির আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।

৬. সম্ভব হলে সালাতুত তাসবিহ পড়া।

৬. সম্ভব হলে তাওবার নামাজ পড়া।

৭. সম্ভব হলে সালাতুল হাজাত পড়া।

৮. সম্ভব হলে সালাতুশ শোকর ও অন্যান্য নফল নামাজ বেশি বেশি পড়া।

৯. কুরআন তেলাওয়াত করা। সুরা কদর, সুরা দুখান, সুরা মুয্যাম্মিল, সুরা মুদ্দাসির, সুরা ইয়াসিন, সুরা ত্বহা, সুরা আর-রাহমান, সুরা ওয়াকিয়া, সুরা মুলক, সুরা কুরাইশ এবং ৪ কুল পড়া।

১০. দরূদ শরিফ পড়া।

১১. তাওবাহ-ইসতেগফার পড়া। সাইয়্যেদুল ইসতেগফার পড়া।

১১. জিকির-আজকার করা।

১২. কুরআন-সুন্নায় বর্ণিত দোয়াপড়া।

১৩. পরিবার পরিজন, বাবা-মা ও মৃতদের জন্য দোয়া করা, কবর জেয়ারত করা।

১৪. বেশি বেশি দান-সদকা করা।

শবে কদরের দোয়া শবে কদর কি ২৭ রমজানেই?
শবে কদরের দোয়া
শবে কদরের দোয়া
শবে কদরের নামাজের নিয়ম।

রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর পেল কিন্তু ইবাদত-বন্দেগিতে সময় কাটাতে পারল না, তার মতো হতভাগা দুনিয়াতে আর কেউ নেই। সুতরাং লাইলাতুল কদর তালাশ করে সঠিক ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে রাত যাপনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা আমাদের একান্ত কর্তব্য।

কেউ শবে কদর পেলে, তার জন্য একটি বিশেষ দোয়ার উল্লেখ রয়েছে হাদিসে। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- হে আল্লাহর রাসুল, আমি যদি জানতে পারি যে, কোন রাতটি লাইলাতুল কদর— তাহলে তখন কোন দোয়া পড়বো? তখন তিনি বললেন, তুমি বলো— اللَّهمَّ إنَّك عفُوٌّ كريمٌ تُحِبُّ العفْوَ، فاعْفُ عنِّي উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিমুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি। অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি মহানুভব ক্ষমাশীল। আপনি ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। অতএব আমাকে ক্ষমা করুন।’ (তিরমিজি: ৩৫১৩)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে শবে কদর নসিব করুন। আমিন।+







শবে কদর অর্থ কি লাইলাতুল কদর কী? – লাইলাতুল কদর শব্দের অর্থ কি

শবে কদর (ফার্সি: شب قدر‎‎) বা লাইলাতুল কদর (আরবি: لیلة القدر‎‎) এর অর্থ “অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত” বা “পবিত্র রজনী”। ফার্সি ভাষায় “শাব” ও আরবি ভাষায় “লাইলাতুল” অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী, অন্যদিকে ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। এ ছাড়া এর অন্য অর্থ হল ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা।

ক্বাদরের আর একটি অর্থ হল, কদর, শান, মর্যাদা, মাহাত্ম্য ইত্যাদি। যেমন বলা হয়ে থাকে, সমাজে অমুকের বড় কদর আছে। অর্থাৎ, তার মর্যাদা ও সম্মান আছে। অতএব এ অর্থে শবে কদরের মানে হবে মহিয়সী রজনী।
। উক্ত কদর যে রাত জেগে ইবাদত করে তারই। এর পূর্বে যে কদর তার ছিল না, রাত জেগে শবে কদর পাওয়ার পর আল্লাহর কাছে সে কদর লাভ হয় এবং তার কাছে তার সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি হয়। আর তার জন্যই এই রাতকে শবে কদর বলে।

লাইলাতুল কদরের রাতে আমলেরও বড় মর্যাদাও রয়েছে। সে জন্যও তাকে লাইলাতুল কদর বলা হয়।

শবে কদরের দোয়া শবে কদরের নামাজ কত রাকাত শবে কদরের নামাজ কোন কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয় শবে কদরের নামাজের নিয়ত আরবি শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও দোয়া

If you have any doubts please let me know

Previous Post Next Post