রোজায় কি কি করণীয়।। রোজা ৯ টি কাজ করণীয়

রোজায় কি কি করণীয়।। রোজা ৯ টি কাজ করণীয়

যে ৪টি কাজ রমজান মাসে অবশ্যই করণীয়


রমজান দোয়া কবুলের মাস। আল্লাহতায়ালার নৈকট্যলাভের বিশেষ মৌসুম। এই মাসে প্রত্যেক বালেগ ও সক্ষম মুসলিম নারী-পুরুষের ওপর রোজা রাখা ফরজ করা হয়েছে।

এক. রোযা রাখা


আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, হে ঈমানদারগণ, তোমাদের ওপর রোযা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পারো।-সূরা বাকারা (০২) : ১৮৩

হযরত আবু হুরায়রা রাদি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন তোমরা রমজানের চাঁদ দেখবে তখন রোযা রাখবে। যখন শাওয়ালের চাঁদ দেখবে তখন থেকে রোযা বন্ধ করবে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে ত্রিশ দিন রোযা রাখবে।-সহীহ বুখারী : ১৯০৯


দুই. তারাবীহ নামাজ পড়া



বরকতময় মাহে রমজানের দিন-রাত উভয়টিই মূলত ইবাদতের জন্য। দিনের ইবাদত হলো রোযা যা শরীয়তে ফরজ, আর রাতের ইবাদত হলো তারাবীহ নামাজ যা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। এ আমল ফরজ না হলেও এর ফযীলত ও মর্যাদা অনেক। হযরত আবু হুরায়রা রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি পূর্ণ ঈমান ও বিশ্বাসের সাথে সওয়াবের আশায় রমজানের রাতে তারাবীহ আদায় করে তার পূর্ববর্তী গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।-সহীহ বুখারী : ২০০৯

তিন. কোরআন তেলাওয়াত করা


রোযা এবং রমজানের সঙ্গে কোরআনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এ জন্যই রমজানে কোরআন নাযিল হয়েছে এবং এ জন্যই নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মুবারাকে কোরআন তেলাওয়াতের খুব গুরুত্ব দিতেন। এ প্রসঙ্গে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদি. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সবচেয়ে বেশি দানশীল ও বদান্য, রমজানে তাঁর দানশীলতা ও বদান্যতা অনেক বেড়ে যেত। প্রত্যেক রমজানে জিবরাঈল আ. তাঁর সঙ্গে মিলিত হতেন এবং পুরো কোরআন একে অপরকে শোনাতেন।-সহীহ বুখারী : ০৬


চার. সাহরী খাওয়া


রোযার প্রস্তুতির জন্য যে আহার করা হয় তার নাম সাহরী। সাহরী খাওয়া সুন্নত। পেট ভরে খাওয়া জরুরি নয়, এক ঢোক পানি


পান করলেও সাহরীর সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা সাহরী খাও। কেননা, সাহরীতে বরকত রয়েছে।-সহীহ মুসলিম : ১০৯৫


পাঁচ. ইফতার করা


সারা দিন রোযা রাখার পর সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে যে আহার করা হয় তার নাম ইফতার। এটা শরীয়তে অনেক বড় একটি আমল। এ আনন্দপূূর্ণ আমলের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে বড় পুরস্কার। ইফতার যেহেতু অনেক বরকতের তাই এই বরকতপূর্ণ আমল শুরু করতে বিলম্ব করতে নিষেধ করা হয়েছে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, লোকেরা যতদিন প্রথম সময়ে ইফতার করার বিষয়ে যতœবান হবে ততদিন তারা কল্যাণের পথে থাকবে।-সহীহ বুখারী : ১৯৫৭

ছয়. রোযাদারকে ইফতার করানো


হযরত যায়েদ ইবনে খালেদ রাদি. থেকে বর্র্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে, সে তার (রোযাদারের) অনুরূপ প্রতিদান লাভ করবে। তবে রোযাদারের প্রতিদান থেকে বিন্দুমাত্রও হ্রাস করা হবে না।-সুনানে তিরমিযী : ৮০৭


সাত. তাওবা-ইস্তিগফার করা


আল্লাহ তাআলা এ মাসে অসংখ্য জাহান্নামীকে মুক্তি দান করেন। যেমন রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ এ মাসের প্রতিরাতে অসংখ্য জাহান্নামীকে মুক্তি দান করেন।-মুসনাদে আহমাদ : ১৮৭৯৪


আট. দুআ করা


রোযার মাধ্যমে মুমিন বান্দা আল্লাহর এতই নৈকট্য অর্জন করে যে, যতক্ষণ সে রোযা অবস্থায় অথবা রোযার প্রস্তুতির অবস্থায় থাকে (অর্থাৎ রাত-দিন) ততক্ষণ তার কোনো দুআ ফেরত দেওয়া হয় না, সমস্ত দুআ কবুল করা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, প্রত্যেক মুসলিম (রমজানে) যে দুআ করে তা কবুল করা হয়।-মুসনাদে বায্যার : ৩১৪১


নয়. ইফতারের আগ মুহূর্তে দুআ করা


ইফতারের সময় দুআ কবুল হয়। আব্দুল্লাহ ইবনে মুলাইকা বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদি. থেকে শুনেছি তিনি বলছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ইফতারের সময় রোযাদারের একটি দুআ কবুল করা হয়।


আব্দুল্লাহ ইবনে মুলাইকা বলেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমরকে ইফতারের সময় এ দুআ করতে শুনেছি, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বি রাহমাতিকা আল্লাতি ওসিআত কুল্লা শায়ইন আন তাগফিরলি’। অর্থাৎ, হে আল্লাহ, আমি তোমার দরবারে সেই রহমতের উসিলায় আবেদন করছি যা সকল বস্তুকে বেষ্টন করে রেখেছে, তুমি আমাকে মাফ করে দাও। (মুসতাদরাকে হাকেম : ১/৫২৯, হাদীস নং : ১৫৬৭) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইফতারের সময় আল্লাহর কাছে এ দুআ করতেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং : ১৭৫৩)


রমজান মাসের ফজীলত, করণীয় ও বর্জনীয় 

যে ৪টি কাজ রমজান মাসে অবশ্যই করণীয় 

রমজান মাসে কী করা যাবে, কী যাবে না 

রমজান মাসে কী কী আমল করবেন 

রমজানে ১০টি কাজ থেকে বিরত থাকুন 

রমজানে করণীয় ও বর্জনীয়

রোজায় করণীয় কি কি,রমজানের রোজায় আমাদের কি কি করণীয়,রমজানে আমাদের কি কি করণীয়,রোজায় করণীয়,মাহে রমজানে করণীয় ও বর্জনীয় কি কি।,আই বি এস থাকলে রোজায় করণীয় কি ?,কি কি করণীয় রমজানের মাসে,অসুস্থতার কারণে রোজা না রাখতে পারলে করণীয় কি,রোজার করণীয়,রমজানের রোজায় কি করব,রমজান শুরুর আগে কি করণীয়,রোজা ভাঙার কারণ কি কি,রোজা রমজানের মাসে কি করণীয় বিস্তারিত আলোচনা,রোজার কাফফারা কি,রোজা অবস্থা কি করব,মাহে রমজানে করণীয় ও বর্জনীয় কি কি। রোজার আমল ফজিলত। রমজানের দোয়া

If you have any doubts please let me know

Previous Post Next Post